সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
বরিশাল কেন্দ্রিয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে চাঁদাবাজিসহ অপরাধজগৎ’র মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে উঠেছে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা। অদৃশ্য ক্ষমতায় কাশিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হবার পরই তার অপকর্মগুলো রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রকাশ্যে ফুটে উঠে। তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শ্রমিক,ব্যবসায়ীসহ নিরিহ মানুষ। জানা গেছে, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে লিটন মোল্লা ইন হয়ে চাঁদার প্রতি ক্রেজি হয়ে উঠেন। বাস টার্মিনাল প্রবেশ পথে রয়েছে একাধিক ফলের দোকান। যার মালিক হলেন হান্নান মাঝি, ওসমান, জাহিদ, কামাল, সেলিম খান, জাকির ও জাহিদ নামের আরো একজন। এরমধ্যে কেউ ৫০ হাজার, আবার কেউ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসার পজিশন নিয়েছে বলে জানালেও প্রকাশ্যে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি না। কারণ, তারা নিজেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান দিয়ে ব্যক্ত করেন, কথায় হিতে বিপরীত হলে প্রাণও চলে যেতে পারে। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ২ জন বলেন, লিটন মোল্লার ছত্রছায়ায় তারা দোকান বসিয়েছেন। এককালিন ৫০ হাজার টাকাসহ এখন্ও তাকে প্রতি মাসে ভাড়ার চাঁদা দিতে হয়। সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, টার্মিনালে পাবলিক প্লেজসহ সিটি করপোরেশনের স্টল’র পাশে অবৈধভাবে বসানো হয়েছে প্রায় ডজন খানেক দোকান। এ সব দোকান প্রতি এককালনি এক থেকে দেড় লাখ টাকাসহ প্রতি মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ভাড়া উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা উঠে আসে ভাড়া ও চাঁদা বাবদ অবৈধ পন্থায়। লিটন মোল্লা টার্মিনালের পিছনে ৪ টি কাউন্টার অবৈধভাবে দখল করেছে। সাবেক শ্রমিক নেতা আফতাব ও তার ভাই কবিরের ষ্টলটিও দখল হয়েছে। যার একটিতে রেজিষ্টেশন বিহীন সংগঠনে চাঁদা রাখছে পরিবহন চালক-শ্রমিকরা। চলমান বছরের গত ২৪ জুলাই বরিশাল এয়াপোর্ট থানায় লিটন মোল্লাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা (নং ১১/১৬৯) দায়ের করে শহিদুল ইসলাম। মামলায় উল্লেখ রয়েছে, চাঁদা না পেয়ে ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে লিটন ও তার সহযোগিরা। টার্মিনালে তার বিশস্ত সহযোগি হলেন একাধিক মামলার আসামি রনি মৃধা, তারেক মৃধা, নাসির, সুজন, দেবা, রুবেল, সোহাগ, মাসুম, মাসুদ, মিস্ত্রি ইউনুস, জলির, নজরুলসহ আরো অজ্ঞাত এক ডজন। দায়েরকৃত মামলার বাদি শহিদুল ইসলাম পরবর্তীতে বরিশাল প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদসম্মেলন করে। আবার মামলা ও সংবাদ সম্মেলনকে উদ্দেশ্যমূলক বলে গত ২৮-০৭-২০ইং তারিখে বাস টার্মিনালের কয়েক ম্যানেজার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে। মামলার পরপরই লিটন মোল্লা আত্মগোপনে চলে যায়। এমনকি তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সদর উপজেলা ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের কলস গ্রামের মৃত. জল কাদের মোল্লার ছেলে কামাল হোসেন লিটন মোল্লা।